প্রায় এক দশক ধরে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতার আসনটি ছিল কার্লোস রুইজের দখলে। ৪৭ ম্যাচে ৩৯ গোল করে ‘এল পেস্কাদিতো’ (ছোট মাছ) খ্যাত এই গুয়াতেমালান কিংবদন্তিই ছিলেন সেই রেকর্ডধারী, যতদিন না ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো তা ভেঙে দেন।
রুইজ বলেন, ‘এর আগে এই রেকর্ডটি ছিল আলি দাইয়ের দখলে, কত বছর ছিল জানি না, কারণ অনেকেই আসলে এই রেকর্ড সম্পর্কে জানে না। কিন্তু এখন যেহেতু রোনালদোর হাতে রেকর্ডটি, সেটার মূল্য অনেক বেড়েছে। যেটা হয়তো আলি দাই বা কার্লোস রুইজের সময় ছিল না।’
৪৬ বছর বয়সী রুইজ হাস্যরস মিশিয়ে আরও বলেন, ‘আমি গর্বিত যে টানা নয় বছর এই রেকর্ড আমার ছিল, আর ফুটবলের দুই মহাতারকা রোনালদো ও মেসি, আমার রেকর্ড ভাঙার জন্য চেষ্টা করছিল। তাদের মাঝখানে থাকা খুব একটা খারাপ নয়, তাই না?’
২০০২ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত পাঁচটি বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে গোলের পর গোল করে আলো ছড়িয়েছেন এই সাবেক এলএ গ্যালাক্সি ফরোয়ার্ড। তবে ব্যক্তিগত সাফল্যের পরও রুইজের সবচেয়ে বড় স্বপ্ন এখনো অপূর্ণ, নিজ দেশ গুয়াতেমালাকে বিশ্বকাপে দেখা।
তবে সেই স্বপ্ন এবার আগের চেয়ে অনেকটা কাছে মনে হচ্ছে। মেক্সিকান কোচ লুইস ফার্নান্দো টেনার অধীনে গুয়াতেমালা এখন কনকাকাফ অঞ্চলের তৃতীয় পর্বের ‘এ’ গ্রুপে তৃতীয় স্থানে আছে, শীর্ষে থাকা সুরিনাম ও পানামার চেয়ে মাত্র এক পয়েন্ট পিছিয়ে। নভেম্বরের দুটি হোম ম্যাচে জয় পেলে ইতিহাস গড়ে প্রথমবারের মতো ২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিট পেতে পারে দলটি।
রুইজ বলেন, ‘যদি গুয়াতেমালা বিশ্বকাপে যায়, সেটা আমাদের জন্য অর্থনৈতিক ও মানসিক দুই দিক থেকেই বিরাট অর্জন হবে। আমাদের এখন বিনিয়োগ করতে হবে বয়সভিত্তিক ফুটবলে, অবকাঠামোতে এবং বিদেশে খেলোয়াড় পাঠাতে হবে, এইভাবেই আমরা এগোব।’

