বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে অনেক অর্জন ধরা দিলেও কখনো ওয়ানডে ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে উঠা হয়নি রোহিত শর্মার। ক্যারিয়ারের পড়ন্ত বেলায় এই অর্জন ধরা দিল তার। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজের পারফরম্যান্স দিয়ে এক নম্বরে উঠেছেন তিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজে রান করে ২৪ ধাপ উন্নতি হয়েছে সৌম্য সরকারের।
তিন ফরম্যাটেই গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক সিরিজে পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে খেলোয়াড়দের নতুন র্যাংকিং প্রকাশ করেছে আইসিসি, যেখানে সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত তার উজ্জ্বল ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে ব্যাটসম্যানদের মধ্যে এক নম্বর স্থানে উঠেছেন।
সিডনিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে দুর্দান্ত অপরাজিত সেঞ্চুরির সুবাদে ডানহাতি এই ব্যাটার দুই ধাপ এগিয়ে শীর্ষে পৌঁছেছেন।
অভিজ্ঞ রোহিত ছিলেন বিধ্বংসী মেজাজে, সঙ্গে ছিলেন ভারতীয় কিংবদন্তি *বিরাট কোহলি (৭৪)**। রোহিত ১৩টি চার ও তিনটি বিশাল ছক্কা মেরে তার ক্যারিয়ারের ৩৩তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন।
তার এই পারফরম্যান্সে তিনি আফগানিস্তানের ইব্রাহিম জাদরান এবং সতীর্থ শুভমান গিলকে টপকে উঠে এসেছেন ওয়ানডে ব্যাটসম্যানদের তালিকার এক নম্বরে। ৩৮ বছর বয়সী এই ব্যাটার গত এক দশকের বেশিরভাগ সময়ই শীর্ষ দশে অবস্থান করেছেন। তবে একে উঠা হয়নি কখনই।
রোহিতের পাশাপাশি আরও এক ভারতীয় খেলোয়াড় অক্ষর প্যাটেলও উন্নতি করেছেন। সিডনিতে তার ভালো পারফরম্যান্সের ফলে তিনি বোলিং ও অলরাউন্ডার—দুই ক্যাটাগরিতেই র্যাংকিংয়ে অগ্রগতি পেয়েছেন।
অক্ষর ছয় ধাপ এগিয়ে বোলারদের তালিকায় ৩১তম স্থানে উঠেছেন, যেখানে শীর্ষে আছেন রশিদ খান। অলরাউন্ডারদের তালিকায় তিনি চার ধাপ উন্নতি করে অষ্টম স্থানে উঠেছেন, যেখানে আজমতুল্লাহ ওমরজাই তার ঠিক উপরে।
ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি হয়েছে বাংলাদেশের সৌম্যের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজে ৪৫ ও ৯১ রান করার পর ২৪ ধাপ এগিয়ে তিনি আছেন ৬২ নম্বরে।
এক ধাপ উন্নতি করে নাজমুল হোসেন শান্ত ৪২ নম্বরে উঠেছেন। তাওহিদ হৃদয়ের অবস্থান আগের মতই আছে ৩৫ নম্বরে, তিনি বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে ওয়ানডেতে এখন সবচেয়ে ভালো র্যাঙ্কিংয়ে আছেন।
ওয়ানডে বোলারদের শীর্ষ দশে নিউজিল্যান্ডের মিচেল স্যান্টনার তিন ধাপ উঠে চতুর্থ স্থানে, আর অস্ট্রেলিয়ার জশ হ্যাজলউড দুই ধাপ এগিয়ে অষ্টম স্থানে উঠেছেন। ইংল্যান্ডের হ্যারি ব্রুকও বড় অগ্রগতি অর্জন করেছেন—তিনি ২৩ ধাপ এগিয়ে ব্যাটসম্যানদের তালিকায় ২৫তম স্থানে।
সাম্প্রতিক রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার ৮ উইকেটের দারুণ জয়ের পর টেস্ট র্যাংকিংয়েও পরিবর্তন এসেছে। ম্যাচসেরা কেশব মহারাজ সবচেয়ে বড় লাভবান হয়েছেন—নয়টি উইকেট নিয়ে তিনি বোলারদের তালিকায় নয় ধাপ এগিয়ে ক্যারিয়ারের সেরা ১৩তম স্থানে উঠেছেন। তার সতীর্থ সাইমন হার্মার দ্বিতীয় ইনিংসে ছয় উইকেট নেওয়ার সুবাদে ২৬ ধাপ এগিয়ে ৪৫তম স্থানে পৌঁছেছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার এইডেন মার্করাম দুই ধাপ এগিয়ে ১৫তম এবং টনি ডি জর্জি সাত ধাপ এগিয়ে ৪৭তম স্থানে উঠেছেন টেস্ট ব্যাটসম্যানদের তালিকায়। অলরাউন্ডারদের তালিকায় কাগিসো রাবাদা আট ধাপ এগিয়ে ১১তম স্থানে।
পাকিস্তানেরও কিছু ইতিবাচক খবর আছে—অধিনায়ক শন মাসুদ পাঁচ ধাপ এগিয়ে টেস্ট ব্যাটসম্যানদের তালিকায় যৌথভাবে ৪২তম স্থানে উঠেছেন।
এদিকে রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম টি২০আইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রভাবশালী পারফরম্যান্সের পর টি২০ র্যাংকিংয়েও পরিবর্তন এসেছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার করবিন বোশ ৪০ ধাপ এগিয়ে ৫৩তম স্থানে উঠেছেন টি২০ বোলারদের তালিকায়, পাকিস্তানের মোহাম্মদ নওয়াজ আট ধাপ এগিয়ে অলরাউন্ডারদের তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে উঠেছেন।

